JFWBD এর গত ২-৩ মাসের যতোসব কুকীর্তি

আমরা চাইনা মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে কেউ আরামের ঘুম দিক। মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে বাচানো দরকার। আর এই দায় টা আমাদের সবার। আসুন কিছু প্রশ্নের আঘাত হয়ে যাক সেই বিতর্কিত দের দিকে। যেমনঃ

প্রশ্ন-১ঃ রাঙ্গামাটি পাহাড় ধ্বসে অনেক মানুষ হতাহত হওয়ায় অফিসিয়াল গ্রুপ JFWBD গ্রুপে পোস্ট দেয়া হয় সহযোগিতা করার। অগনিত মানুষ আর্থিক এবং বস্তু প্রভৃতি দ্বারা সহায়তা করে। একটা সময় রাঙ্গামাটি ডিসি কাপড় নিতে অস্বীকৃতি জানালে সেই কাপর বিক্রি করে অর্থ তুলে দেয়া হবে বলে সবাইকে বলা হয় কিন্তু শোনা গেছে রাঙ্গামাটি ডিসির হাতে ২৫-৩০ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয় ৩জন ভলিন্টিয়ারাহ সেখানে গিয়ে। অথচ শত শত কাপড় উঠেছে যা ধানমন্ডি একজনের বাসা (নানা ভাই এর পরিবারের লোক যে কিনা রাতারাতি মডারেটর বনে যায় শুধুমাত্র চেয়ারম্যান ম্যাডাম কে উপঢৌকন দেয়ার মাধ্যমে) উনার বাসায় ছিল এবং কিছু টাকা বিক্রি করে নগদ সেখানেই ১১ হাজার টাকা আসে। ভলিন্টিয়ার Nazmul / Shibly Nomany সহ আরও অনেকে বিক্রি করে। যেখানে একদিনেই রাস্তায় বিক্রি করে ১১ হাজার টাকা আসে সেখানে অন্যান্য কাপড় আর মালামাল যা ঢাকা ডিস্ট্রিক্ট এডমিন নানা ভাই এর বাসায় ছিল তার খবর কেউ জানে না। উনার বিকাশে কি পরিমান টাকা আসতে পারে তা বলার বাইরে যেখানে Shibly Nomany নামের এক ভলিন্টিয়ার এর বিকাশেই ৭০০০+ টাকা আসে রাঙ্গামাটি ইস্যুতে। বাকিটা বুঝে নিন যে শুদ্ধু ভলান্টিয়ারের বিকাশে যদি ৭০০০+ আসে তো এডমিন বা মডারেটর দের বিকাশে কতো এসেছিল? যাতে কেউ হিসেব চাইতে না পারে কিছু টাকা এজেন্ট নাম্বারে ও নেয়া হয়েছিল। এবং অনেক টাকা আসে নাই বলে জানানো হয়েছিল। এখানে বলি যেহেতু এজেন্ট নাম্বার, সেহেতু নানা ভাই এর প্ল্যান টা জোস ছিল। তো বলে এতো টাকা কই গেলো? 

প্রশ্ন-২ঃ ফাউন্ডেশন এর ঢাকা ডিস্ট্রিক্ট এডমিন যাকে সবাই নানা ভাই নামে চিনে উনাকে রিমান্ডে নিলে সব গোমর ফাঁস হবে। একটা সময় তিনি তার মোবাইল চুরি হয় বলে প্রকাশ করে। অথচ তারা যে ক্ষমতাধর হিসেবে নিজেদের প্রকাশ করে তাতে সামান্য মোবাইল উদ্ধার করার কোন ব্যাপারই না। অথচ তার মোবাইল উদ্ধার হলো না। Foundation এ তাদেরকে কোন প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে যায় এবং সুন্দর মত কিক মারা হয়। মজার কথা হলো এত এত কেইস তারা সলভ করেন। রানিং সিম তাও গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির যার মোবাইল হারায় কিন্তু সিম তুললেন না তিনি। প্রশ্ন হলো কেন??!! খুব চতুরতার সাথে কোমলমতি ভলিন্টিয়ারদের পকেট এর টাকা দিয়ে ফাউন্ডেশনের ছোটখাটো কাজ করা হয়। কিছুদিন আগে T-shirt এবং আইডি কার্ডের জন্য ৪০০ টাকা তোলা হয় অর্ধশত বা তারও বেশি ভলিন্টিয়ার এর কাজ থেকে। সিম টা কেনো তুল্লেন না? আর বিকাশ নাম্বার গুলোর স্টেট্মেন্ট কই? এই সবের অডিট রিপোর্ট কে দিবে।

প্রশ্ন-৩ঃ কক্সবাজার ট্যুর এর আয়োজন করেন তারা। ভলিন্টিয়ার এর বেশির ভাগ মূলত শিক্ষার্থী তাই প্রথম নির্ধারিত ৭ হাজার টাকা জনপ্রতি ধরায় তেমন সারা পাওয়া যায়নি। (Dhaka division Volunteer group এর মাধ্যমে) পরবর্তীতে অফিসিয়াল গ্রুপে স্পন্সর চেয়ে পোস্ট দেয়া হয়। এবং ভলিন্টিয়ারদের বলা হয় ৩৫০০ টাকা ঠিক করা হয়েছে কারণ ৭০০০ টাকায় কেউ সারা দেয়নি। অনেকে আর্থিক সহায়তা করেছেন ভলিন্টিয়ারদের জন্য যেন যেতে পারে অথচ কত টাকা কে স্পন্সর করেছেন তা প্রকাশ করা হয়নি। এমনো আছে যাদের জন্তায স্দেপন্রসর হওয়া সত্ত্বে ও তারা যেতে পারে নি কিন্তু তাদের খরচের হিসেব তা নেই :D নিজস্ব ভক্ত আর কুকীর্তির সহযোগী কয়েকজন ছাড়া ১০০% গ্যারান্টি বেশির ভাগ ভলিন্টিয়ার নিজের টাকায় গিয়েছে। সেখানে অব্যবস্থাপনা আর মান নিয়ে সবাই অসন্তোষ ছিল। অনেকে বলেছে নিজ পকেটের টাকা দিয়ে আসলেও ৩৫০০ টাকা খরচ হয় না ২দিনে। এক অভিভাবক অব্যবস্থাপনার কথা বললে চেয়ারম্যান তাদের সবার সামনে অপমান করে লাথথি দিয়ে বের করে দিতে বলে যদি তিনি তার মায়ের বয়সী একজন সম্মানিত নারী। কক্সবাজার ট্যুরে একজন লোক অর্ধশত (৭০টির মত) গিফট দিয়েছেন বলে শোনা যায় সেগুলোর হদিস মেলেনি। সেসব কই?

প্রশ্ন-৪ঃ গ্রুপে পোস্টের মাধ্যমে ৭০০ মানুষকে সেহরি দিবে বলে ঘোষনা দেয়া হলেও মাত্র ৬টি পরিবারকে দেয়া হয় যা নিয়ে ভলেন্টিয়ারদের মধ্যে নানা কৌতুহল কিন্তু ভীত সবাই। মামলার ভয়। কারণ তাদের আইনজীবী, পুলিশ,সেনাঅফিসার, রাজনৈতিক পাওয়ার সব আছে তা প্রকাশ করে। পুরোটা আইওয়াশ বলা যায়। সিম্প্যাথি কাজে লাগিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

প্রশ্ন-৫ঃ মুগদা ইফতার ইভেন্টে ১০০০ হাজার মানুষকে ইফতার করানো হবে বলা হলেও মাত্র ৪০০ মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ করা হয় আর ঢাকা ডিস্ট্রিক্ট এডমিন যে সবচেয়ে বড় চোর এর সাগরেদ তিনি ভলেন্টিয়ারদের বলেন গ্রুপে পোস্ট হবে ৭০০ কেউ বলবেন না ৪০০ মানুষকে দেয়া হয়েছে। এরকম অনেক ঘটনা সন্দেহ বাড়িয়ে দেয় সবার।

আমার এই লাইভ ভিডিও টি যারা দেখেন নি তাদের জন্য আবার দিলাম! দেখে নিনঃ

সত্য জানতে কিছু ভলিন্টিয়ার যারা সরাসরি সম্পৃক্ত এবং ম্যাচিউর্ড সব দেখেছে আর এর দায়িত্বে থাকা এডমিন মড দের ভালোভাবে রিমান্ড এ দুই ঘা দিলে সব বেরিয়ে যাবে বিশেষ করে ঢাকা ডিস্ট্রিক্ট এডমিন। উল্লেখ্য ঢাকা ডিস্ট্রিক্ট এডমিন এবং তার কো-অরডিনেটর গত রাতে ফাউন্ডেশন থেকে স্বেচ্ছায় বেরিয়ে যায়। শোনা যাচ্ছে খুলনা এর তথ্য ফাস হয়ে যাওয়াতে সাবেক এই ঢাকা ডিস্ট্রিক্ট এডমিন এবং তার কো-অরডিনেটর চিন্তিত তার সব কুকর্ম ফাস হওয়ার ভয়ে। তাদের ভেতরে গভীরভাবে গবেষণা করলে দেখা যাবে যে, ডোনাররা যদি তথ্য চায় প্রমাণ সহ ১০০% নিশ্চিত তারা ব্যর্থ হবে। তাদের অভ্যন্তরীণ কাঠামো অত্যন্ত দুর্বল আর চাপাবাজির ওপর সীমাবদ্ধ। 

ফাউন্ডেশন এর চেয়্যারম্যান বিটিভি তে এসে বলেছেন তাদের ১০০০০ হাজার ভলেন্টিয়ার সারাদেশে তারা লিস্টেড ১০০০০ হাজার দেখাতে পারবে না। আবার বলেছেন ২৫০০ ট্রেইনড ভলেন্টিয়ার তিনি কি রকম ট্রেইনিং দিয়েছেন এটা জাতি জানতে চায়। আবার স্ট্যাটাসে এসে সে বলেছে কয়েকবার য এসে প্রতি ভলান্টিয়ারের পিছনে ১০ হাজার টাকা করে খরচ করে। তিনি বিটিভিতে আরও বলেন ২৫০০ হাজার কেইস সলভ করেছেন। যা কিনা বাংলাদেশ পুলিশ এবং ঢাকা মেট্রো[পলিটন পুলিশ এর সদস্যরা শুনে হাসে। কারন সারা বাংলাদেশে মাসে ২৫০০ মামলা হয় কিনা সন্দেহ। লিখিত ডকুমেন্ট নই কোনটারই নিশ্চিত। নারীবাদী আর নারীদের প্রতি মানুষের সম্মান, পুলিশের দূর্নীতি আর প্রভাবশালীমহলের সাথে হাত থাকায় শুধু আইওয়াশের মাধ্যমে মানুষের টাকা নিয়ে ব্যক্তিগত ফায়দা করছে। 

কিছু আইনজীবী, পুলিশ আর প্রভাবশালী মহলের সাথে যোগাযোগ থাকায় তারা কাউকে কেয়ার করেন না আর সাধারণ মানুষ তারা তো জেনেও অন্ধ থাকবে। তাই তদন্ত করে যদি সত্য প্রমাণিত হয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত এখনি। আমি সেই ফাউন্ডেশনকে এখনও দোষারোপ করছি না তবে এ ফাউন্ডেশনের ব্যাপারে তদন্ত করে সত্য প্রকাশ করা হোক কারণ এ সকল বিষয় এখনও অজানা। টাকা কিভাবে পায় কিভাবেই বা ব্যয় করে। এদের সকলের বিকাশ একাউন্ট এর হিসেব নেয়া উচিত।

এটা কেবল বিগত ৩-৪ মাসের গল্প বিগত ২-৩ বছরে কি হয়েছে না বললেও চলে। আল্লাহ সব জানেন। সত্য কি। মানুষ জানুক। ডোনাররা প্রশ্ন করুক কোথায় গেলো হিসাব নিক কক্সবাজার ট্যুরে একজন ডোনারই ২০ জন ভলেনন্টিয়ার এর স্পন্সর করেছে বলে জানা যায় অথচ সবাই ৩৫০০ টাকা দিয়ে নিজ করেছে যায়।